সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিনপ্রিয় পাঠক, সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় এবং মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে করনীয় কি তা জানার জন্য অনেকে খোঁজা খোঁজি করে থাকেন কিন্তু সঠিক তথ্য পান না। এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়লে আপনি আপনার মনের মতো তথ্য পেতে সহায়তা করবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় জেনে নিন

এছাড়াও অতিরিক্ত মাসিক কেন হয়, পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি হলে করনীয় এবং পিরিয়ড বেশি দিন থাকার কারণ এই সকল বিষয় জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

মেয়েদের মাসিক হওয়া টা খুব কমন একটি বিষয়। মাসিক হওয়া যুবতি মেয়েদের জন্য খুব ভালো একটি বিষয় যাদের মাসিক হয় তারা বাচ্চা জন্মদানের বিশেষ ভূমিকা রাখে। মেয়েদের সাধারণত এক মাস পর পর মাসিক হয়ে থাকে তাতে ভালোর ভূমিকা রাখে। তবে যদি খুব কম দিন পর পর অর্থাৎ অতিরিক্ত যদি মাসিক হয় সেটি খুব ক্ষতি ও কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।

তাই খেয়াল রাখতে হবে যে খুব ঘন ঘন মাসিক হচ্ছে কি না, অতিরিক্ত মাসিক যদি হয়ে থাকে তবে কিভাবে তা বন্ধ করবেন সে বিষয়ে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পিরিয়ড বেশি দিন থাকার কারণ কি, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে করনীয় কি এই সকল বিষয়ে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার উপকারের জন্য আমরা এই সকল তথ্য একজন অভিজ্ঞ মহিলা ডক্টর এর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি। তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

অতিরিক্ত মাসিক কেন হয়

অতিরিক্ত মাসিক বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাব (Menorrhagia) বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে বা দীর্ঘ সময় ধরে হয়। অতিরিক্ত মাসিক কেন হয়, এর কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • হরমোনজনিত সমস্যাঃ প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণ হতে পারে।
  • জরায়ুর ফাইব্রয়েডঃ জরায়ুতে ফাইব্রয়েড (সাধারণত নিরীহ টিউমার) থাকলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপঃ জরায়ুর ভিতরের অংশে পলিপ (ছোট টিউমার) থাকলে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে পারে।
  • জরায়ুর ক্যান্সার বা জরায়ুর প্রি-ক্যান্সার অবস্থাঃ অস্বাভাবিক রক্তপাত ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।
  • রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যাঃ রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
  • থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাঃ হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি) অতিরিক্ত মাসিকের কারণ হতে পারে।
  • প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত চিকিৎসাঃ যেমন আইইউডি (IUD) বা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য পদ্ধতি।
  • স্ট্রেস ও জীবনযাত্রার প্রভাবঃ মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা অনিয়মিত জীবনযাত্রাও হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে, যা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের কারণ হতে পারে। যদি অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অসহনীয় হয়ে যায়, তবে ডাক্তার বা গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি হলে করনীয়

যদি পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি সময় ধরে চলে, এটি একটি অস্বাভাবিক অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটিকে মেনোরাজিয়া (Menorrhagia) বলা হয়। এই অবস্থায় করণীয় কী হতে পারে তা বিশ্লেষণ করা হলোঃ

ডাক্তার বা গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন

প্রথমত, দীর্ঘমেয়াদি বা অতিরিক্ত পিরিয়ড হলে একজন ডাক্তার বা গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। কারণ এটি অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারবেন।

স্বাস্থ্য ইতিহাস যাচাই

আপনার পূর্বের ঋতুচক্রের ইতিহাস এবং যেকোনো নতুন লক্ষণ ডাক্তারের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত। এতে করে চিকিৎসক সমস্যার প্রকৃতি এবং কারণ বোঝার জন্য আরও ভাল তথ্য পাবেন।

হরমোন সংক্রান্ত পরীক্ষা

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অনেক সময় অতিরিক্ত পিরিয়ডের কারণ হতে পারে। ডাক্তারের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা করে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে।

আল্ট্রাসাউন্ড বা অন্যান্য চিত্রায়ন পরীক্ষা

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড, পলিপ বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড বা অন্য কোনো চিত্রায়ন পরীক্ষা করতে পারেন।

ঔষধ ব্যবহার

  • হরমোন থেরাপিঃ যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে, তবে ডাক্তার হরমোন থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন, যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
  • অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধঃ ইবুপ্রোফেনের মতো ওষুধ পিরিয়ডের সময় রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • রক্তের জমাট বাঁধার ওষুধঃ Tranexamic acid রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারে।

জরায়ুর পদ্ধতিগত চিকিৎসা

কিছু ক্ষেত্রে, যদি ঔষধে কাজ না হয় বা সমস্যা গুরুতর হয়, তবে বিভিন্ন পদ্ধতিগত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, যেমন,
  • ডায়লেশন এবং কারেটেজঃ জরায়ুর অভ্যন্তরীণ স্তর পরিষ্কার করার জন্য এই প্রক্রিয়া করা হয়।
  • এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাব্লেশনঃ জরায়ুর লাইনিং ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া, যা রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
  • হিস্টেরেকটমিঃ জরায়ু সম্পূর্ণরূপে সরানোর প্রক্রিয়া, যা একেবারে শেষ পর্যায়ের চিকিৎসা।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সুষম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • মানসিক চাপ কমানোঃ চাপ ও মানসিক উদ্বেগ হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি।

পুষ্টির ঘাটতি পূরণ

অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট অথবা আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, মাংস, ডাল খাওয়া রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত। কারণ এটি শরীরে অন্যান্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

পিরিয়ড বেশি দিন থাকার কারণ

পিরিয়ড দীর্ঘ সময় ধরে চলা, যা ৭ দিনের বেশি হতে পারে, এটি বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে। নিচে উল্লেখ করা হলো পিরিয়ড বেশি দিন থাকার কারণ।

ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা পিরিয়ড দীর্ঘায়িত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এই হরমোনগুলোর ভারসাম্য জরায়ুর অভ্যন্তরীণ স্তরের নিয়ন্ত্রণ করে। যদি এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তবে অতিরিক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদী রক্তপাত হতে পারে। জরায়ুর দেয়ালে থাকা এই অ-বিষাক্ত টিউমারগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত এবং দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ডের কারণ হতে পারে। ফাইব্রয়েডের আকার এবং অবস্থান অনুসারে এটি পিরিয়ডের সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।

সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় জেনে নিন

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) একটি হরমোনজনিত রোগ, যেখানে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো ছোট সিস্ট তৈরি হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে পিরিয়ড অনিয়মিত ও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠলে এটি এন্ডোমেট্রিওসিস নামে পরিচিত। এতে পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হতে পারে এবং এটি বেশ কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।

যদি কোনো মহিলা ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস (IUD) ব্যবহার করেন, এটি প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাতের কারণ হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা ইমপ্লান্টসেও এমন সমস্যা হতে পারে। কিছু মহিলাদের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কম থাকলে, তাদের পিরিয়ড দীর্ঘমেয়াদী এবং অতিরিক্ত হতে পারে। ভন উইলিব্র্যান্ড ডিজিজ (Von Willebrand disease) একটি সাধারণ রক্তের সমস্যা যা দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ডের জন্য দায়ী হতে পারে।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণের অস্বাভাবিকতা, যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি), দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ডের কারণ হতে পারে। জরায়ুর, ডিম্বাশয়ের বা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারও দীর্ঘমেয়াদী এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণ হতে পারে, যদিও এটি কম সাধারণ। এ ধরনের রক্তপাতের জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি।

সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায়

অতিরিক্ত মাসিক রক্তপাত (হেভি মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং) বা মেনোরাজিয়া অনেক নারীর জন্য অস্বস্তিকর এবং শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এই সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে, যা চিকিৎসা, ঘরোয়া সমাধান, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্ভব। নিচে সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

১. ডাক্তারি পরামর্শঃ অতিরিক্ত মাসিকের ক্ষেত্রে প্রথমেই একজন গাইনোকোলজিস্ট বা ডাক্তার দেখানো উচিত। কারণ এর পেছনে হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড, বা থাইরয়েডজনিত সমস্যা থাকতে পারে, যা ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া নিরাময় করা কঠিন।

২. হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলঃ হরমোনাল পিলগুলো প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের সমন্বয়ে মাসিকের রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এটি জরায়ুর আস্তরণকে পাতলা করে এবং মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।

৩. প্রোজেস্টিন থেরাপিঃ প্রোজেস্টিন থেরাপি একটি বিকল্প যা মাসিক চক্রের মাঝামাঝি প্রোজেস্টিন গ্রহণের মাধ্যমে রক্তপাত কমিয়ে আনে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেনের প্রভাব বেশি থাকে, তাদের জন্য এটি কার্যকর।

৪. আইইউডিঃ কিছু ধরনের আইইউডি, যেমন লেভোনোরগেস্ট্রেলযুক্ত আইইউডি, জরায়ুতে প্রোজেস্টিন সরবরাহ করে যা রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করতে সহায়ক হয়।

৫. এনএসএআইডিঃ আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেনের মতো NSAID গুলি রক্তের প্রবাহ কমাতে সহায়তা করে এবং মাসিকের সময় ব্যথাও কমায়।

৬. আয়রন সাপ্লিমেন্টসঃ অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) হতে পারে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা এবং অতিরিক্ত মাসিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৭. এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাব্লেশনঃ এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে জরায়ুর আস্তরণ ধ্বংস করা হয়, ফলে মাসিক রক্তপাত কমে আসে বা বন্ধ হয়ে যায়।

৮. ডিসিএইচএঃ কিছু ওষুধ, যেমন ড্যানাজোল বা গোনাডোট্রপিন-রিলিজিং হরমোন (GnRH) এজেন্টস, মাসিক সাময়িকভাবে বন্ধ করতে পারে। এটি বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

৯. ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন থেরাপিঃ যারা হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে অতিরিক্ত মাসিক ভোগেন, তাদের জন্য ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের কম্বিনেশন থেরাপি কার্যকর হতে পারে।

১০. অ্যান্টি-ফাইব্রিনোলাইটিক এজেন্টঃ ট্রানেক্সামিক এসিডের মতো ওষুধ রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত রক্তপাত কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ স্থূলতা অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন উৎপাদন করে যা রক্তপাত বাড়াতে পারে। সুতরাং, ওজন কমানোর মাধ্যমে মাসিক নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

১২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ ভিটামিন সি, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য মাসিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি পরিহার করলে মাসিকের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।

১৩. ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক, যা মাসিক নিয়মিত এবং কম রক্তপাত করতে সাহায্য করে।

১৪. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং মাসিকের গন্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে। তাই, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, বা রিল্যাক্সেশন টেকনিক মাসিক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

১৫. গ্রিন টি এবং আদাঃ গ্রিন টি এবং আদার মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলো প্রদাহ কমাতে এবং মাসিক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এছাড়া, সমস্যা যদি গুরুতর হয়ে থাকে, তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে করনীয়

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এর পেছনে হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), বা ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডের মতো কারণ থাকতে পারে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে, তাই আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, ডাল, ও আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় জেনে নিন

এ সময় NSAIDs জাতীয় ব্যথানাশক যেমন আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এটি ব্যথা কমানোর পাশাপাশি রক্তক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে। প্রচুর পানি পান করে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখা উচিত। প্রোজেস্টিন থেরাপি বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের মতো হরমোনাল চিকিৎসা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। পরিস্থিতি যদি গুরুতর হয় তবে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

লেখকের মন্তব্য

সেরা ১৫টি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। এছাড়াও অতিরিক্ত মাসিক কেন হয় সকল কারণ বিষয়বস্তু নিয়ে উপস্থাপন করেছি। আসা করি এই সকল নিয়ম মেনে চললে আপনাদের বিপদের মুখোমুখি হতে হবে না।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং প্রয়োজনে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আরও যে কোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখে আসতে পারেন। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url